সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন নিচের লিংকে ক্লিক
করে:
ইংরেজি ছড়ার(Rhymes) ভাবানুবাদ
(সরাসরি অনুবাদ নয়)
মনোজকুমার দ. গিরিশ
২০১১
রাইমস্-- ভাব লিখন
মনোজকুমার
দ. গিরিশ
মণীশ
পার্ক, কোলকাতা, ভারত
|
০২/১২/২০১১ শুক্র, দুপুর
রাইমস্-- ভাব লিখন
ইংরেজি রাইমসের কিছু অনুবাদ
ঠিক না হলে কি আর, পাবে ঠিক স্বাদ?তাই আমি ভাব নিয়ে বানালাম কিছু
সরাসরি রাইমসের ছুটি নাই পিছু
কবিতার জেনো ঠিক অনুবাদ হয় না
স্বর্ণের স্থানে যেন পিতলের গয়না
দরকার কিহে বাপু এত চাপাচাপিতে
ফিতে দিয়ে জল কিছু পারিবে কি মাপিতে?
খোলা হাত পায়ে নামো, পুকুরের জলে
সাঁতার কাটিয়া সুখ পাবে এর ফলে
সাঁতার কাটিতে আমি নেমেছিনু তাই
ফার্স্ট না ফেল তাহা কেমনে বোঝাই?
সাঁতার কাটিতে আমি পেয়েছিনু সুখ
ভালো বা মন্দ তাহে নেই কোনও দুখ!
============
৫৫টি ছড়া
১
ব্যা ব্যা ছাগলেরা ব্যা-করণ কয়
ভ্যাঁ করে কেঁদে তাহা বুঝেছ নিশ্চয়
ব্যা রবে ব্যাকরণ জলবৎ সোজা
ছাগলের জিভে সব ব্যাকরণ গোঁজা
১০/১/২০১১ সোম, রাত
Baa, baa, black ship,
Have you any wool?
Yes sir, yes sir,
three bags full.
one for the master,
And one for the dame,
And one for the little boy
Who lives down the lane.
------------------
২
জেগে ওঠে শব্দে, আনচান মনটা
কোথা বাজে কোথা বাজে ঢং ঢং ধ্বনি
মনে হয় দ্রুত যাই ছুটেই এখনি
পাঠশালা ছুটি হল, কোলাহল ওঠে
বাঁধ যেন ভেঙে গেল গহন পর্বতে
ঢং-ঢং ঢং-ঢং ঢং-ঢং রবে
ঘণ্টাটা মেতে গেছে ছুটি উৎসবে
কোলাহলে কলরোলে পড়ুয়ারা ধায়
সারাদিন পাঠ শেষে
ছোটে সবে হেসে হেসে
বই হাতে খোকাখুকু মার কাছে যায়
১০/১০/২০১১, সোম, রাত
Let us ring
the bi-cycle bell,
Ting-a-ling
a ling:
Let us
ring the school bell,
Ding,
dong, dong.
Let us
ring the fire bell,
Clang,
clang, clang,
Let us
ring the sleigh bell,
Jingle,
jingle, jingle.
------------------
৩
গুছি গুছি করে
পড়ে আছে দেখ ওই মেঝের উপরে
তুলে তারে ফেলে দাও
সাফ হবে ঘর
এই দায় নিয়ে নাও
নিজের উপর
Bits of
paper;
Bits of
paper;
Lying on
the floor,
Lying on
the floor,
Make the
place untidy,
Pick
them up,
Pick
them up.
------------------
৪
লাল টুক টুক
ঠোঁট দুটি
মাথায় মস্ত
চুলের ঝুঁটি
বড় বড় কালো
চোখ
রংমাখা দশটি
নোখ
আপেলের রং
গালে তার
মুখে হাসি
স্নিগ্ধতার
দু-হাত তুলে
নাচে
আয়না খুকু
কাছে
Chubby Cheeks, dimple chin,
Rosy lips, teeth within,
Curley hair, very fair.
Eyes are blue, lovely too.
Teacher's Pet, is that you?
Yes, Yes, Yes.
কোমল তনু,
বক্রধনু ভুরু
চুলগুলো সব
আছে হয়ে
উড়ু উড়ু উড়ু
মধুর নাসা
মায়াবী চোখ
ফুলের মতো দাঁত
তোমায় কনে
এত দিনে
দেখি অকস্মাৎ
১৩/১০/২০১১ বৃহঃ, সকাল
------------------
৫
০৮/১১/২০১০ মঙ্গলবার
জুতোটাকে দাও না গো
ঠিকঠাক করে দাম যাহা লাগে তাহা
দেব তার পরে
ছেঁড়া চটি পরে পথে
চলা বড় দায়
এক পাটি হাতে মোর
এক পাটি পায়
৬
০৯/১১/২০১১
বুধবার
রূপসি-টি
হারালেন পাদুকাটি তাঁর
কী করে যে
এর পরে হাঁটিবেন আরসেই ভেবে কান্নায় ভরে গেল বুক
খালি পায়ে হাঁটাতে নেই কোনও সুখ
ম্লান মুখে তাই চুপ, মুখে কথা নয়
জুতো ছাড়া হাঁটিবেন তাই কভু হয়৻
৭
০৮/১১/২০১১ মঙ্গলবার
পুষিটাকে
কে ফেলেছে
জলের
ভিতরে
তাড়াতাড়ি
তুলে নাও
তাহাকে
উপরে
পাতকুয়া
থেকে তার
ওঠা ভারী
দরকার
জলে তারে
ফেলে দিল
না জানি
কোন্ দুরাচার!
৮
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
শুঁড় তুলে
হাতি দিদি করে জোর চিৎকার
কান দুটো
কুলো যেন দেহটা দারুণ ভার
সাদা দুই
দাঁত তার দুই পাশে খোলা
পা-গুলো
থাম যেন পেটখানি ফোলা
মাথা নেড়ে
খেলা করে জলের ভিতর
আনন্দে
মাতিয়ে রাখে নদীটির চর
৯
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
টিক্ টিক্
চলে ঘড়ি দেয়ালের গায়
কাছে গিয়ে
ছুঁচো তারে দেখিবারে চায়
এদিকে
ওদিকে তার মাথা নেড়ে নেড়ে
ঢোকে গিয়ে
গুটি গুটি ঘড়ির ভিতরে
ঢং করে
সেই ক্ষণে বেজে ওঠে ঘণ্টা
উড়ে গেল
চমকিয়া বেচারার প্রাণটা
এক লাফে
বের হয়ে
থতমত খেয়ে
ভয়ে
কোনও মতে বাঁচাইল
কচি তার প্রাণ
১০
০৯/১১/২০১১
বুধবার
মুরগিটা
কালো রং ডিম পাড়ে সাদা
একখানি
ডিম পাড়া রোজ তার বাঁধা
ডিমগুলো
খায় লোকে
মুরগিটা
কাঁদে শোকে
কত ছানা
গেল মারা মানুষের হাতে
সারাদিন
করে শোক, ডিম পাড়ে রাতে!
১১
০৯/১১/২০১১
বুধবার
খাবি নাকি ফুচকা
ওরে ব্যাটা পুচকা
একটাকা দুটাকা যেমনটি দাম
কম খেয়ে থাম
ওরে ব্যাটা পুচকা
একা খাবি ফুচকা?
বাড়ি নিয়ে যাবি না
বোনটাকে দিবি না?
১২
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
দেয়ালের
উপরে ছিল, বসে এক গাম্বুশ
পড়ে যেতে
পারে তবু, ছিল নাকো কোনও হুঁশহঠাৎ উলটে গিয়ে
দুই চার পাক খেয়ে
নীচে পড়ে চুরমার
ছুটে এলো লোকজন
কে পড়িল অভাজন,
তুলে ধর তুলে ধর
হাতে হাতে তুলে ধরে
জোড়াতালি দিয়ে তারে
কোনওভাবে সারিল না আর
১৩
কেটলি
থেকে গরম গরম
চা ঢেলে খাও কাপেপটে করে রেখেছি চা
সবারই এক মাপে
শোঁ শোঁ যখন শব্দ হবে
বাষ্পে খবর পাবে
একমুঠো চা ফেল পটে
তাতেই সবার হবে
সবাই এসে বসো ঘিরে
টেবিলটারে বেশ
সারা বিকেল সঙ্গে রবে
গল্পগাছার রেশ
১৪
১৩/১০/২০১১
বৃহস্পতিবার, সকাল
কড় কড় মেঘ
রব
বজ্রের ঘোরভয়ে সবে রাখে দিয়ে
আপনার দোর
তুমুল বৃষ্টি-তোড়ে
ঝাপটা বাতাস
মনে হয় সৃষ্টি বুঝি
হয়ে যায় নাশ
আকাশ যায় না দেখা
গাছপালা ভাঙছে
টালি ভেঙে টিন উড়ে
কী অশনি হানছে
সব কাজ বরবাদ
চিন্তার পড়ে ভাঁজ
বৃষ্টিতে নেমে আসে
দুপুরেই ভরা সাঁঝ
১৫
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
নল বেয়ে
উঠছিল সে এক মাকড়
বৃষ্টি এসে ভাসিয়ে নিল তারেহাবুডুবু খেয়ে মাকড়
ভেসে গেল তোড়ে
সূর্য উঠে দুদিন ধরে শুকিয়ে দিল জল
খরা হয়ে মাকড় এবার দেহে পেল বল
নল বেয়ে উঠে এসে এবার --
গেল হেঁটে যেথায় ছিল যাবার
১৬
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
বৃষ্টিতে ভিজে বুড়ো
পড়িল যে জ্বরে
কাঁথাখানি গায়ে সে,
কাঁপিল অন্তরেঝড়ের দাপট, আর বৃষ্টি-ঝাপট
ভাসিয়ে দিল আছে যাকিছু সব
ভোর বেলাতে উঠবে কোথায়
উঠল কাসির রব
১৭
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
খোকন খোকন--
এই তো বাবা
খাচ্ছ চিনি?
মোটেই না!
বলছ না তো মিছে?
হেঁ-- হেঁ-- হেঁ৻
১৮
০৯/১১/২০১১
বুধবার
গুবরে পোকা গুবরে
পোকা
তোমার কপাল পোড়া
আগুন লেগে পুড়ল
বাড়ি
সঙ্গে ছানা জোড়া
ঘেঁটে দেখ ছাই পাঁশ
যদি কিছু পাও
না পেলেও কিছু তেমন
তবু খুঁজে যাও
১৯
০৯/১১/২০১১
বুধবার
ভালো ছেলে কেমন আমি
বলল যদুনাথ
খেয়ে কেমন করেছি
সাফ
দেখ আমার পাত
ভাত খেয়েছি ডাল
খেয়েছি
খেয়েছি বেগুন পোড়া
পড়ে আছে দেখ শুধু
কচু শাকের গোড়া
২০
০৮/১১/২০১১
মঙ্গলবার
ওবাড়ির মেয়েটা
উঠোনের পাশে
গাছকাটা গুড়িটাতে ধীরে
এসে বসে
চুক চুক তেঁতুলের
চাটনিটা চেটে
তারিয়ে তারিয়ে সে
খাচ্ছিল বটে
ঝুপ করে সুতো ঝুলে
মাকড়সা এসে
এই বুঝি চেটে নিত
চাটনিতে বসে
ওরে বাপ
বলে লাফ
দিয়ে জোর চিৎকার
হয়ে গেল উঠোনটা এক
লাফে পার
২১
০৯/১১/২০১১
বুধবার
পেটফোলা এক মানি
ব্যাগ
হারিয়ে গেল পথে
পিন্টু পেল কুড়িয়ে
তাকে
পিসির বাড়ি যেতে
উরিব্বাস, ভর্তি
টাকা
আছে বুঝি তাতে
টাকা নয়, বইয়ের
পাতা
উঠে এলো হাতে
২২
এক দুই
খাব পুঁই
তিন চার
বার বার
পাঁচ ছয়
আর নয়
সাত আট
মানছি ঘাট
নয় দশ
ওরে
ব্বাস্!
২৩
০৯/১১/২০১১
বুধবার
জলদি বানাও পুলি
পিঠে
গরম গরম খাবো
বানাও পিসি জলদি
বানাও
দূরের মেলায় যাব
আমিও খাব, তুমিও
খাবে
খাবে বাড়ির সবে
সবাই মিলে খাব বসে
দারুণ মজা হবে
২৪
০৯/১১/২০১১
বুধবার
ওরে পুষি বেজায়
খুশি
কোথায় ছিলি বল
কী খেয়েছিস কী
পেয়েছিস
কেন রে উচ্ছল?
ছিলাম আমি মাচার
পরে
ইঁদুর যেথায় চলে
যদি পাই নেংটি
ইঁদুর
তারে খাবো বলে
দেখি এক মস্ত ধেড়ে
বিরাট বপু তার
তারে দেখে দিলাম
লাফ
হলাম পগার পার
২৫
০৯/১১/২০১১
বুধবার
ওরে বিষ্টি ধরে যা
খেলব আমি সরে যাআসিস আবার অনেক পরে
এখন যা তুই বহু দূরে
২৬
০৯/১১/২০১১
বুধবার
গাছের ডালে দোলনা
দেখ
কেমন বাঁধা রয়
দুলব সেথা মনের
সুখে
করব নাকো ভয়
জোর বাতাসে হাওয়ার
সাথে
দুলব অবিরাম
বুঝেই গেছ এইটি হল
দুষ্টু ছেলের কাম
২৭
০৯/১১/২০১১
বুধবার
তটিনীর ধারা ধরে
তরণিটি ছোটে
মন্দ সমীরে সেথা
ছোট ঢেউ ওঠে
জীবন বহিয়া যায়
নদীর স্রোতের প্রায়
আনন্দ আশার মাঝে
স্বপন জাগিয়া রয়
২৮
০৯/১১/২০১১
বুধবার
চানাচুর বিক্রেতা
হেঁকে চলে পথে
ছুটে এসো বাচ্চারা
চানাচুর খেতে
ডাক শুনে পিন্টু
ছুটে চলে আসে
ভরিল প্রাণটা তার
ভাজার সুবাসে
দাও দাও হাত পাতে
সয়না যে তর
চানাচুর খাবে ভেবে
মনে বয় ঝড়
পয়সাটা বের করো
খোকা তুমি আগে
চানাচুর খেতে গেলে
পয়সাও লাগে
পয়সা সে কোথা পাবে
পিন্টু হতাশ
দাঁড়ায়ে মনের দুঃখে
পড়ে তার শ্বাস
২৯
০৯/১১/২০১১
বুধবার
ভালুক বাবাজি দেখাও
কারসাজি
ডিগবাজিতে উলটে
গিয়ে দেখাও ভোজবাজি
দেখাও খেলা দুপুর
বেলা
নৃত্যরসে আপন ভোলা
হাততালি দেয় শিশুর
দল
ভালুক যেন খেলার
কল
৩০
০৯/১১/২০১১
বুধবার
হাতের আঙুল দশটা
পায়েও আছে তাই
একটা নাক দুটো চোখ
গুণে দেখ ভাই
পা আছে দুই খানা
হাতও আছে দুই
কান দুটোকে হিসেব
থেকে
কেন বাদ থুই
৩১
০৯/১১/২০১১
বুধবার
ছাগলের ব্যা ব্যা রব
কুকুর ডাকে ঘেউ
প্যাঁক প্যাঁক ডাকে হাঁস
পুকুরের ধারে
দেয়ালে চাপিয়া মোরগ
কঁক কঁক করে
৩২
০৯/১১/২০১১
বুধবার
আকাশের তারাগুলি
ঝিক্ মিক্ করে
কোথা পায় আলো তারা
আঁধার সাগরেশতদীপ জ্বলে যেন আকাশের গায়
আকাশ ভরিছে তারা আলোর শোভায়
আঁধার রাতের মণি
করে শুধু কানাকানি
কত কাল ধরে আলো
দেয় বা কী জানি
৩৩
০৯/১১/২০১১
বুধবার
দুই পাখি দুই ডালে
বসে মুখোমুখি
বসে তারা থাকবেই
চিরকাল নাকি?ওগো পাখি উড়ে যাও নীল মহাকাশে
নতুবা খাও সে খুঁটে পোকা ঘাসে ঘাসে
মুখোমুখি কতকাল রবে আর বসে
গেল বয়ে সারা বেলা রাত হয়ে আসে
৩৪
১০/১০/২০১১
সোমবার, রাত
জলে এমন
তুমুল ডুব
গা ভেজে না মোটেছড়ছড়িয়ে জল ছড়িয়ে
গুগলি খুঁজি
চ্যাপটা দুখান ঠোঁটে
ডুবিয়ে গলা সারাবেলা
গায়ে ছিটাই জল
গা ভেজে না, পিছলে যায়
কী করব বল?
হাসতে হাসতে ভাসতে ভাসতে
দিঘি করি পার
তোমার এমন হয়না সাঁতার
(আহা) কী করব তার?
পা দুখানি বৈঠা যেন
দেহে তুলার ভার
এত ভিজেও হয়না জ্বর
কী বলব তার?
৩৫
০৯/১১/২০১১
বুধবার
টাট্টু চড়ে যাও
দূরে
শহরের মাঝপালক লাগায়ে সাজো
নায়কের সাজ
নাচো গাও হাসো সুখে
নায়িকার সাথে
স্বপন দেখিয়া লও
সুখের প্রভাতে
৩৬
১৩/১০/২০১১
বৃহস্পতিবার, সকাল
একদিন ফুল বাবু
গিয়েছিল
পিকনিক গার্ডেন
ভয় হল কোছাটি কি
সামলাতে পারবেন?
জলাভরা তিলজলা
কাদা ডোবা জলাশয়
জুতো হাতে আধবেলা
হাঁটিলেন মহাশয়
৩৭
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
অ-এ অমৃতি,
আ-এ আম
ক-এ কলা কত,
খ-এ খই যত
দ-এ দই
মিঠে, কত কিছু আর
থরে থরে সাজানো
খাবার
খেয়েদেয়ে
পেট ভরে
পড়াশুনা হবে
লেখাপড়া
করে যারা
তারা বড় হবে
৩৮
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
ঘুম থেকে
ওঠে যারা খুব ভোরবেলা
খায়দায় বই
পড়ে মাঠে করে খেলা
শুয়ে পড়ে
তাড়াতাড়ি রাত এলে পরে
স্বাস্থ্যে
সম্পদে জ্ঞানে ঘর তার ভরে
৩৯
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
হাঁসটির
পাঁচ ছানা চড়িল পাহাড়ে
ঘুরিতে
ঘুরিতে তারা গেল বহুদূরে
সাঁঝ কালে
মা ডাকে প্যাঁক প্যাঁক প্যাঁক
ফিরিল না
কেহ আর মরিল বেবাক
৪০
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
রাত হলে
দেবে এক জম্পেশ ঘুম
নিদভরে
কাটাইবে রাত্রি নিঝুম
ক্লান্তি
কষ্ট আর অবসাদ যত
নিদ্রার
শান্তিতে হবে অপগত
৪১
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
যদু দিল
লাফ জোর
হঠাৎ করে
জ্বলছিল
মোমবাতি
হেলে গায়ে পড়ে
আগুনের
সেঁকা খেয়ে
যদু বাছাধন
কাতরায়ে
কষ্টে
কাঁদে সারাক্ষণ
৪২
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
ব্যাঙেদের
ঠ্যাং কেউ
খায় মাঝে মাঝে
মুরগির
ঠ্যাং ভেবে
লেগে যায় কাজে!
অনেকেই
খায় দেখ
ব্যাঙেদের ঠ্যাং
বেঁচে আছে
বেশ তারা
করে ড্যাং ড্যাং
৪৩
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
আমি হব
রাজা যখন
রানি হবে তুমিবাতাস বহিবে জোর
সুখের মৌসুমি
ফুলেরা ফুটিবে শাখে
কচি পাতাটির ফাঁকে
অকাতরে থরে থরে
বুঝিবা ঝাঁপায়ে পড়ে
রঙের ঝলকে তারা
কী বাহার ধরে
৪৪
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
পূর্ণ চাঁদের চূর্ণ আলো
দিয়ে ঘুচাও রাতের কালো
পূর্ণ শশী রোজ বিকাশি
সুখে কাটুক সকল নিশি
৪৫
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
বাড়ির পথে
মোদের টুসি
মাছি ধরে
বেজায় খুশিপ্রজাপতি পাবে কোথা
প্রজাপতি নাই
তাই তো টুসি খুঁজে পেতে
ধরল মাছিটাই
৪৬
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
এক দুই
তিন চার পাঁচ
পথে দেখি
পড়ে আছে কত ভাঙা কাচ
ছয় সাত আট নয় দশ
তার গায়ে লেগে ছিল
চিন-মাখা রস
বৈয়ামটা ছিল কোথা
কী করেই-বা এলো হেথা
খুঁজে খুঁজে হয়রান সকলে
বস্তুটা ছিল কার দখলে
অবশেষে দেখা গেল এই
হকদার ছিল সে নিজেই
==============
এক দুই
তিন চার পাঁচ
এমন করে
না বেঁচে তুইবাঁচার মতো বাঁচ
ছয় সাত আট নয় দশ
লেখাপড়া না শিখিলে
খেতে হবে ঘাস
৪৭
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
রানির ছিল
কৃষ্ণ কেশ
তেল
সোহাগে চকচকে বেশবিনুনি তার দীঘল অতি
ভাঁজে ভাঁজে সোনার পাঁতি
ধরার সেরা চুলে জিত
সেই গরবে সুখের নিদ
৪৮
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
ধরা মাঝে
বর্ষে দেখ বৃষ্টি-আশিস
চিকন সবুজ
হয় তৃণদের শিষবৃক্ষেরা মাথা পেতে ধারাসুখে নায়
আসিল বৃষ্টি ধেয়ে দক্ষিণা বায়
বৃষ্টি দুষ্টু তুই, ভেজাবি না মোরে
তাহলেই রাগ করে আড়ি দেব তোরে
৪৯
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
কোলকাতা
শহরে যাব কোন্ পথে
পদযুগে
যাব কিবা যাব চড়ে রথে
ডাহিনে
চলিব কিবা বাম দিকে যাব
কোন্ পথে
গেলে ভাই কোলকাতা পাব?
ঠিকঠাক পথ
মোরে বলে দাও ভাই
অচেনা
অদেখা মোর কোলকাতা যাই
৫০
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
আগে পিছে
সামনে যে পথেই যাও
উপরে কিবা
নীচে যে দিকে তাকাও
বর্ষার
ঝাপটার আটকাতে জল
কাচ দিয়ে
বানানো জানালা সকল
৫১
গাড়ি চলে
ঘর-ঘর সর-সর করে
পথচলা
পথিকেরা ভয়ে দূরে সরে
শোঁ-শোঁ
শন-শন হাওয়া কেটে চলে
বাড়ায়
তীব্র বেগ আগে যাবে বলে
৫২
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
গাছ কেটে
খুঁটি হয়, চিরে হয় কাঠ
চেয়ার
টেবিল হয়, কভু দরজা কবাট
গাছ কাটা
বড় দোষ জানো নাকি ভাই
দূষণে
ভরবে ধরা, গাছ রাখা চাই
৫৩
৯/১১/২০১১
বুধবার
রঞ্জন-রশ্মি
কোন্ এক তপস্বী
করেছিল বার
সহজেই
করতে নানা
রোগের বিচার
৫৪
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
জ্বল জ্বল
করে রং হলুদ উজ্জ্বল
খোসাতেই
রং ধরে পাকা কলা ফল
মশলার
মাঝে পাবে হরিদ্রা ফসল
গায়ে মেখে
হবে জেনো রংটি উজল
৫৫
১০/১১/২০১১
বৃহস্পতিবার
ঘোড়ার মতো
জেব্রা জীব
বুনো পশু জেনো
দেহে তার
কালো ডোরা
বনের বাঘ হেন
সাদা দেহে
ফিতের মতো
যেন সাঁটা থাকে
ঘোড়ার মতন
পোষ মানানো
যাবে না তাহাকে
অতিরিক্ত পড়া:
হরেক রকম-- হরে কর
কম