Sunday, September 19, 2010

দাঁত-- সকল সুখের উৎস, সকল দুঃখের মূল








বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন


অহনলিপি-বাংলা১৪
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip


সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে ‎নিতে হবে৤ ‎
Click on the Link and Download Bangla Unicode Font
বিনামূল্যে সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে৤

ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করার লিংক উপরে দেওয়া হল৤
লিংকে ক্লিক করুন ফন্ট ডাউনলোড হবে৤ ‎
যুক্তবর্ণ সরল গঠনের৤ বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ৤ ‎




দাঁত-- সকল সুখের

উৎস,

সকল দুঃখের মূল



মনোজকুমার দ. গিরিশ৤
মণীশ পার্ক, কোলকাতা, ভারত



      দাঁত নিয়ে আলোচনায় আমি দু-একটি কথা বলতে চাই৤ দাঁতে ব্যথা হয় না, ‎বা হয়নি এমন লোক মেলা ভার৤ তার কারণ খাবারের কণা দাঁতে থেকে যায়, সব ‎সময়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে ওঠেনা৤ এমনকি পরিষ্কার করলেও সব ‎কণাই দূর হয় না৤ সেই কণাগুলি পচে মাড়ির ক্ষতি করে৤ এজন্য মাড়ি ও দাঁত ‎বাঁচাতে আমরা রোজ দাঁত মেজে পরিষ্কার করি৤ কিন্তু তার পদ্ধতি ঠিক না ‎হওয়ায় দাঁতের সঠিক সুরক্ষা হয় না৤
        বত্রিশ দাঁত আমাদের বত্রিশ উইকেট, তা রক্ষা করা অবশ্যই কঠিন৤ এক উইকেটেই নাজেহাল হতে হয়, আর বত্রিশ উইকেট হলে তা আটাকনো খুবই কঠিন৤
 
আমি যেটা করি সেটা জানাই৤ দুপুরে ‎খাবার পরে আমি ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজি৤ আর রাতে খাবার পরে আঙুল দিয়ে ‎মাড়ি ঘষে দাঁত মাজি৤ এতে দাঁতের সুরক্ষা অনেক বেশি হয়, ফলে দাঁত ‎দীর্ঘকাল ভালো থাকবে৤ ব্যথা যন্ত্রণা প্রায় থাকবে না৤ হাতের আঙুল দিয়ে মাড়ি ‎ঘষার সময়ে চার মাড়ির (ভিতরে এবং) বাইরেটা মাজতে হবে৤ রোজই এটা করতে ‎হবে৤ মনে রাখতে হবে-- হাতের আঙুল হল দাঁতের সবচেয়ে বড় ডাক্তার৤‎
যে ভাবে আমরা ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজি তার পদ্ধতি একটু পালটে ফেলতে হবে৤ ‎মাজার পদ্ধতি ভুল হলে, দাঁত পরিষ্কার হলেও মাড়ির ক্ষতি হবে৤ ‎
প্রথমে হাঁ করে মুখের ভিতর বরাবর দাঁতের উপর দিকটায়

(হরাইজন্টাল →←) ‎

ব্রাশ চালিয়ে দাঁতের উপরের দিকটা পরিষ্কার করে নিয়ে, তারপরে দাঁতের ‎পাশের দিক তথা মাড়ির দিকটা(ভার্টিক্যাল ↓↑) মাজতে হবে৤ সাধারণভাবে এটাতেই ত্রুটি হয়৤ ‎পাশের দিক তথা মাড়ির দিকটা মাজতে গিয়েই যত গোল৤ মুখের ভিতর বরাবর মাড়িতে
হরাইজন্টাল →← মাজা যাবে না, এখানটায়ও ভার্টিক্যালি মাজতে হবে এবং ‎
                                          এভাবে




                                          এভাবে









কিন্তু কখনও এভাবে নয়   ×


পদ্ধতিটা হবে-- উপরের মাড়িতে ব্রাশ বসিয়ে তা নিচের দিকে ঘষে ‎খাড়াভাবে নামাতে হবে, কিন্তু সেটা যেন নিচের মাড়িতে গিয়ে কখনও না লাগে, ‎উপরের মাড়ির দাঁত পার হবার পরে ব্রাশ একটু উঁচুতে তুলে নিয়ে ব্রাশ আবারও ‎উপরের মাড়ির গোড়ায় আগের স্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে৤ নিচের মাড়িতে ‎যেন কখনোই ঘষা না লাগে৤ ‎
ব্রাশ আসলে উপর থেকে নিচ, এবং সেখান থেকে একটু উপরে উঠিয়ে, ‎নিচ থেকে উপরে-- এভাবে উপর-নিচ ↑↓ চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে

(কিন্তু ‎পাশাপাশি →← এভাবে বরাবর নয়)৤

ব্রাশ উপর থেকে নিচে খাড়াভাবে নামানোর সময়ে ‎কেবল দাঁতের উপরে চাপ পড়বে, কিন্তু এবার ব্রাশ নিচ থেকে উপরে তোলার সময়ে তা দাঁত ‎বা মাড়ি স্পর্শই করবে না৤ দাঁত মাজার সময়ে মুখ খানিকটা হাঁ করতে তো ‎হবেই৤ মাড়িতে উলটো দিক দিয়ে ঘষা, বা পাশাপাশি ঘষা চলবে না৤ চারটি ‎মাড়ির দাঁত আলাদা করে মাজতে হবে৤ এভাবে চার পাটির বাইরেটা প্রত্যেকটিই ‎আলাদা করে মাজতে হবে, তবে ব্রাশ দিয়ে পাটির ভিতরে মাজার দরকার নেই, তাতে ‎মাড়িতে আঘাত লাগবে৤ ছবিতে দেখুন৤ ‎

---------

শুনে হয়তো বেশ জটিল বলে মনে হচ্ছে কিন্তু মোটেই জটিল নয়৤ প্রথমে অভ্যাস ‎করতে কিছুটা সময় লাগবে৤ নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে৤ এভাবে চললে ‎দীর্ঘকাল দাঁতে কোনও অসুবিধে, বা ব্যথা যন্ত্রণা প্রায় হবে না৤ ‎

ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজার কালে দাঁতের ময়লা বা কণা ইত্যাদি পরিস্কার ‎করতে গিয়ে মাড়ির ক্ষতি না-হয় সেটা লক্ষ রাখতে হবে৤ মাড়ির ভিতর বরাবর →← ‎ঘষলে মাড়ির ক্ষতি হয়, আর সেই ভুল-ভাবেই প্রায় সকলেই দাঁত মাজেন৤ এটা ‎না করে সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকবে৤ আর মনে রাখতে ‎হবে যে, ডান হাতের আঙুল হল দাঁতের সবচেয়ে বড় ডাক্তার৤ রোজ অল্প ‎একটু সময় ধরে হাতের আঙুল দিয়ে দাঁত মাজুন, তা হলে আর কোঁ-কোঁ করতে ‎করতে হাতে গাল চেপে ডাক্তারের কাছে দৌড়তে হবে না৤ ডাক্তার কী ‎করবেন? আপনার ব্যথা কমাবার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ দেবেন, ব্যথা কমলে তাঁর ‎সাঁড়াশি তো আছেই! ‎

--------------------



দাঁত হল সকল সুখের উৎস, সকল দুঃখের মূল, তাই দাঁতের যত্ন নিন৤ দাঁত ‎থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বুঝলে, দাঁতই আপনাকে তা বুঝিয়ে ছাড়বে৤ ‎

রোজ আঙুল দিয়ে মাড়ি ঘষে দাঁত মাজাই হল দাঁতের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা৤




ছবি ঋণ: নেট এবং দৈনিক সংবাদপত্র থেকে ছবি-সহায়তা নেওয়া হয়েছে৤ ‎

                                 --00--