বাংলা ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করুন
অহনলিপি-বাংলা১৪
https://sites.google.com/site/ahanlipi/font-download/AhanLipi-Bangla14.zip
সবটা ঠিক ঠিক পড়তে হলে সংগে দেওয়া লিংক থেকে ফন্ট ফ্রি ডাউনলোড করে নিতে হবে
Click on the Link and Download Bangla Unicode Font
বিনামূল্যে সর্বান্তিক বাংলা ইউনিকোড ফন্ট সরাসরি ডাউনলোড করুন নিচের এই লিংকে ক্লিক করে
ইউনিকোড ফন্ট ডাউনলোড করার লিংক উপরে দেওয়া হল
লিংকে ক্লিক করুন ফন্ট ডাউনলোড হবে
যুক্তবর্ণ সরল গঠনের বুঝতে লিখতে পড়তে সহজ
দাঁত-- সকল সুখের
উৎস,
সকল দুঃখের মূল
মনোজকুমার
দ. গিরিশ
মণীশ
পার্ক, কোলকাতা, ভারত
দাঁত নিয়ে আলোচনায় আমি দু-একটি কথা বলতে চাই দাঁতে ব্যথা হয় না, বা হয়নি এমন লোক মেলা ভার তার কারণ খাবারের কণা দাঁতে থেকে যায়, সব সময়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়ে ওঠেনা এমনকি পরিষ্কার করলেও সব কণাই দূর হয় না সেই কণাগুলি পচে মাড়ির ক্ষতি করে এজন্য মাড়ি ও দাঁত বাঁচাতে আমরা রোজ দাঁত মেজে পরিষ্কার করি কিন্তু তার পদ্ধতি ঠিক না হওয়ায় দাঁতের সঠিক সুরক্ষা হয় না
বত্রিশ দাঁত আমাদের বত্রিশ উইকেট, তা রক্ষা করা অবশ্যই কঠিন এক উইকেটেই নাজেহাল হতে হয়, আর বত্রিশ উইকেট হলে তা আটাকনো খুবই কঠিন
আমি যেটা করি সেটা জানাই দুপুরে খাবার পরে আমি ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজি আর রাতে খাবার পরে আঙুল দিয়ে মাড়ি ঘষে দাঁত মাজি এতে দাঁতের সুরক্ষা অনেক বেশি হয়, ফলে দাঁত দীর্ঘকাল ভালো থাকবে ব্যথা যন্ত্রণা প্রায় থাকবে না হাতের আঙুল দিয়ে মাড়ি ঘষার সময়ে চার মাড়ির (ভিতরে এবং) বাইরেটা মাজতে হবে রোজই এটা করতে হবে মনে রাখতে হবে-- হাতের আঙুল হল দাঁতের সবচেয়ে বড় ডাক্তার
যে ভাবে আমরা ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজি তার পদ্ধতি একটু পালটে ফেলতে হবে মাজার পদ্ধতি ভুল হলে, দাঁত পরিষ্কার হলেও মাড়ির ক্ষতি হবে
প্রথমে হাঁ করে মুখের ভিতর বরাবর দাঁতের উপর দিকটায়
(হরাইজন্টাল →←)
ব্রাশ চালিয়ে দাঁতের উপরের দিকটা পরিষ্কার করে নিয়ে, তারপরে দাঁতের পাশের দিক তথা মাড়ির দিকটা(ভার্টিক্যাল ↓↑) মাজতে হবে সাধারণভাবে এটাতেই ত্রুটি হয় পাশের দিক তথা মাড়ির দিকটা মাজতে গিয়েই যত গোল মুখের ভিতর বরাবর মাড়িতে
হরাইজন্টাল →← মাজা যাবে না, এখানটায়ও ভার্টিক্যালি মাজতে হবে ↓ এবং ↑
এভাবে
কিন্তু কখনও এভাবে নয় ×
পদ্ধতিটা হবে-- উপরের মাড়িতে ব্রাশ বসিয়ে তা নিচের দিকে ঘষে খাড়াভাবে নামাতে হবে, কিন্তু সেটা যেন নিচের মাড়িতে গিয়ে কখনও না লাগে, উপরের মাড়ির দাঁত পার হবার পরে ব্রাশ একটু উঁচুতে তুলে নিয়ে ব্রাশ আবারও উপরের মাড়ির গোড়ায় আগের স্থানে ফিরিয়ে আনতে হবে নিচের মাড়িতে যেন কখনোই ঘষা না লাগে
ব্রাশ আসলে উপর থেকে নিচ, এবং সেখান থেকে একটু উপরে উঠিয়ে, নিচ থেকে উপরে-- এভাবে উপর-নিচ ↑↓ চক্রাকারে ঘুরতে থাকবে
(কিন্তু পাশাপাশি →← এভাবে বরাবর নয়)
ব্রাশ উপর থেকে নিচে খাড়াভাবে নামানোর সময়ে কেবল দাঁতের উপরে চাপ পড়বে, কিন্তু এবার ব্রাশ নিচ থেকে উপরে তোলার সময়ে তা দাঁত বা মাড়ি স্পর্শই করবে না দাঁত মাজার সময়ে মুখ খানিকটা হাঁ করতে তো হবেই মাড়িতে উলটো দিক দিয়ে ঘষা, বা পাশাপাশি ঘষা চলবে না চারটি মাড়ির দাঁত আলাদা করে মাজতে হবে এভাবে চার পাটির বাইরেটা প্রত্যেকটিই আলাদা করে মাজতে হবে, তবে ব্রাশ দিয়ে পাটির ভিতরে মাজার দরকার নেই, তাতে মাড়িতে আঘাত লাগবে ছবিতে দেখুন
---------

শুনে হয়তো বেশ জটিল বলে মনে হচ্ছে কিন্তু মোটেই জটিল নয় প্রথমে অভ্যাস করতে কিছুটা সময় লাগবে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে এভাবে চললে দীর্ঘকাল দাঁতে কোনও অসুবিধে, বা ব্যথা যন্ত্রণা প্রায় হবে না
ব্রাশ দিয়ে দাঁত মাজার কালে দাঁতের ময়লা বা কণা ইত্যাদি পরিস্কার করতে গিয়ে মাড়ির ক্ষতি না-হয় সেটা লক্ষ রাখতে হবে মাড়ির ভিতর বরাবর →← ঘষলে মাড়ির ক্ষতি হয়, আর সেই ভুল-ভাবেই প্রায় সকলেই দাঁত মাজেন এটা না করে সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত মাজলে দাঁত ভালো থাকবে আর মনে রাখতে হবে যে, ডান হাতের আঙুল হল দাঁতের সবচেয়ে বড় ডাক্তার রোজ অল্প একটু সময় ধরে হাতের আঙুল দিয়ে দাঁত মাজুন, তা হলে আর কোঁ-কোঁ করতে করতে হাতে গাল চেপে ডাক্তারের কাছে দৌড়তে হবে না ডাক্তার কী করবেন? আপনার ব্যথা কমাবার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ দেবেন, ব্যথা কমলে তাঁর সাঁড়াশি তো আছেই!
--------------------

দাঁত হল সকল সুখের উৎস, সকল দুঃখের মূল, তাই দাঁতের যত্ন নিন দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা না বুঝলে, দাঁতই আপনাকে তা বুঝিয়ে ছাড়বে
রোজ আঙুল দিয়ে মাড়ি ঘষে দাঁত মাজাই হল দাঁতের সবচেয়ে বড় সুরক্ষা
ছবি ঋণ: নেট এবং দৈনিক সংবাদপত্র থেকে ছবি-সহায়তা নেওয়া হয়েছে
--00--